সূর্যমুখী তেলের আশ্চর্য গুণ
আমাদের দেশের পরিচিত একটি তেল হচ্ছে সূর্যমূখী তেল। সূর্যমূখী এক ধরণের একবর্ষী ফুল গাছ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ফুলের বাণিজ্যিক চাষ হয়ে থাকে।এ গাছ প্রায় ৩ মিটার (৯.৮ ফুট) লম্বা হয়ে থাকে, ফুলের ব্যাস ৩০ সেন্টিমিটার (১২ ইঞ্চি) পর্যন্ত হয়। এই ফুল দেখতে কিছুটা সূর্যের মত এবং সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে বলে এর এরূপ নামকরন করা হয়েছে।
শরীরের ব্যাথা ও ক্ষয় রোগ দূর করেঃ
এই বীজে আছে ভিটামিন-ই যা আমাদের দেহের নানা রকম ব্যথা দূর করতে সহায়তা করে। সেই সাথে সূর্যমুখী বীজের তেলে বিদ্যমান ভিটামিন-ই আমাদের ত্বককে রক্ষা করে সূর্যের আল্ট্রা-ভায়োলেট রশ্মি থেকে। ত্বকের অযথা বুড়িয়ে যাওয়া এবং ক্ষয় রোধে এই তেল খুবই উপকারী।
পুষ্টিগুণে ভরপুর
প্রচুর পরিমাণে খাদ্যশক্তি থাকায় সূর্যমুখী বীজের তেল আমাদের দুর্বলতা কাটাতে কার্যকরী। আমাদের দেহের কার্যক্ষমতা বাড়াতে এবং দীর্ঘদিন কর্মক্ষম রাখতেও সূর্যমুখী তেলের ভূমিকা অনন্য।
ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে
সূর্যমুখী তেল শুষ্কতার বিরুদ্ধে লড়াই করে ত্বকের আর্দ্রতা বাড়ায়। গবেষণায় দেখা গেছে, ত্বকের আর্দ্রতা বাড়াতে সূর্যমুখী তেল কার্যকর। এই তেলে থাকা লিনোলিক অ্যাসিডসহ অন্যান্য উপাদান ত্বককে আর্দ্র রাখে। এ ছাড়া রয়েছে ভিটামিন ই, যা ত্বককে গভীর থেকে আর্দ্র রাখে।
বয়সের ছাপ দূর করে
সূর্যমুখী তেলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকের বলিরেখাসহ নানা সমস্যা দূর করে বয়সের ছাপ পড়া থেকে সুরক্ষা দেয়। এতে থাকা ভিটামিন ই ত্বকের যত্নে কার্যকর। সূর্যমুখী তেল কোলাজেন উৎপাদন বাড়িয়ে ত্বককে নরম, কোমল ও তারুণ্য এনে দেয়।
ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে
সূর্যমুখীর তেলে যেমন ভিটামিন এ থাকে তেমনই থাকে ক্যারটিনয়েডস। আর এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কিন্তু ক্যানসার কোশের বাড়বাড়ন্তকে আটকে দেয়। এছাড়াও কোলন ক্যানসার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে এই তেল। তাই এসব কথা মাথায় রাখলে সূর্যমুখীর তেল খুবই ভালো অপশন।
Comments
Post a Comment